আজো ফেরা হলো না মুক্তিযোদ্ধা খোকার, ৭১ এর রক্তিম সূর্যটা ছিনিয়ে আনবে বলে সেই যে কবে বেড়িয়েছে ঘর থেকে, তারপর দেখতে দেখতে একে একে কেটে গেল তিন যুগ আর পাঁচ পাঁচটি বছর; তবুও শেষ হয় না মায়ের, প্রতিক্ষার শেষ প্রহর। আজো হদিস মিলেনি কোথাও তাঁর, আজো আকাশ-বাতাস বয়ে বেড়ায় ৩০ লক্ষ - শহীদের পঁচা-গলা লাশের থমথমে গন্ধ, আজো প্রকৃতির কোলে নি:শব্দে-নিভৃতে বাঁজে বুলেট-গ্রেনেডে ঝাঝড়ানো শহীদের আতœচিৎকার; যেন কত-শত মায়ের বুক খালি করা শহীদের- এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতার অধিকার। শূণ্য আঁচল পূর্ণ করার প্রতিক্ষায় মা তাঁর আজো পথপানে চেয়ে থাকে নিষ্পলক, দু’চোখে যতটুকু ছিল নোনাজল তা আজ ক্রমশ শুকিয়ে হয়েছে চৈত্রের দাবদাহ অনল। তবুও আশায় বুক বেঁধে দিন কাটে স্বপ্নময়তায় মেঘের আঁচল ভেদ করে হয়তো খোকা- একদিন আসবে শূণ্য আঁচল পূর্ণ করতে; ৭১ এর সেই কালো রাতের বিভীষিকা খোকাকে- ফিরিয়ে এনে, আজো পারেনি মায়ের স্বপ্ন গড়তে। মায়ের মন তবুও গর্জে উঠে বুক ফাঁটা গর্বে-আনন্দে জাতির জন্য খোকা দিয়েছে নিজের প্রাণ বিসর্জন; এ যেন দামাল প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন। প্রতিনিয়ত জ্বলে-পুড়ে অঙ্গার হয়, মায়ের পোড়া মন- জীবন যুঝায় নিজের সাথেই সংগ্রাম করেন আমরণ; তবুও জাতির মুখে ফুঁটাতে একরাশ বিজয়ের হাসি সন্তানহীনতায় দু:খকে করেছেন তিনি, সাদরে বরণ। শত কষ্ট বুকে চেপে রেখে, খোকা আসবে ভেবে- বেঁচে থেকেও যেন মা, আজ জীবন্মৃত এক শ্মশাণ; যেন ইতিহাস খ্যাত আরেকটি জাহানারা ইমাম, তাইতো তাদের ত্যাগের মহিমায়, আজো আমরা- বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলীর মাঝে, করি তাঁদের সন্মান।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
২৯/১২/১২ তারিখে আমার পরীক্ষা। মাইক্রোসফট এমসিআইটিপি এবং জানুয়ারীর শেষের দিকে আরেকটি পরীক্ষা। এইজন্য নেটে বসার সময় পাই না। দোয়া করবেন যাতে মাইক্রোসফট সার্টিফাইড হতে পারি।
ওমর ফারুক
পালের গোদা, ভালো লিখলে পাঠক এমনি এমনি পড়বে, না কি? কবিতা না পড়ে শুধু মন্তব্যের জোরে জয়ী হওয়া যায় না । এককাজ করেন কিছু মেডেল কিনে ঘরে রেখে দেন। সবার হাসির একটা উপলক্ষ হবে!
আপনাকে-তো আমি বন্ধু হিসাবেও এড করিনি। তবে কেন গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আসছেন? কিছু লোক আছে যাদের কোন কাজ নেই তারা মানুষ এর সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে সেই ভদ্রতাটুকু জানে না। তারা সমাজের খয়ের খাঁ। আপনি কার দালালি করতে এই ব্লগে আসছেন, বলবেন কি?
ওমর ফারুক আপনিতো কবিতা নিয়ে কিছু বললেন না! এটা কি সুস্থ্য মানুষের লক্ষণ? এমন অসুস্থ মানুষগুলো কেন আসে এখানে? গল্পকবিতা কি এমন উটকো ঝঞ্জালগুলোকে দেখে না! এরা কি এমন করেই যাবে আর আমরা ভুক্তভোগীর মতো শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব?
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।